কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনি কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সহ কাঁচা কলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সহ কাঁচা কলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি না টেনে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ
প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা কলা বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। কাঁচা কলায় থাকা ভিটামিন সি , ভিটামিন এ , ভিটামিন বি ৬ , আইরন , পটাশিয়াম ইত্যাদি সহ আরো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান , শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শরীর সুস্থ এবং ফিট রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ভূমিকা

কলা খেতে আমরা প্রায় সকলেই খুব ভালোবাসি। কলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা কাঁচা কলার গুণাগুণ সম্পর্কে। আপনি জানলে অবাক হবেন পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলাতে ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। কাঁচা কলায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।  
কাঁচা কলায় থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন জটিল রোগের সমাধান করে। তাই আপনাদের জন্য আজ আমাদের আয়োজন কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলাতে ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিভিন্ন উপাদান। কাঁচা কলাই রয়েছে ফাইবার , ভিটামিন বি ৬ , পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ভিটামিন সি , এর মত উপাদান। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগের সমাধান করে আসছে কাঁচা কলা। 
কাঁচা কলা ডায়রিয়া উচ্চ রক্তচাপ সহ নানান ধরনের জটিল রোগের সমাধানের বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে কাঁচা কলা সেই প্রাচীনকাল থেকে। উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে কাঁচা কলায়। তাই আজকের পোস্টটি বিস্তারিত পড়লে আপনি জানতে পারবেন কাঁচা খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

কাঁচা কলার উপকারিতা

কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য অসংখ্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি খাবার। কাঁচা গলায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন ভিটামিন সি , পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফাইবার ইত্যাদি সহ আরো অনেক উপাদান। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  1. হজম শক্তি বৃদ্ধি। কাঁচা কলাই থাকা প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ এবং স্টার্চ। আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা এবং হজম জনিত সমস্যা দ্রুত সমাধান করে। এবং পেটের ফুড পইজনিং জনিত সমস্যার সমাধান করে।
  2. দেহের পেশি মজবুত করে। কাঁচা কলাই থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আমাদের শরীরের পেশি শক্তিশালী মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবং পেশির বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধান করে। আপনি কাঁচা কলার তরকারি খেলে আপনার পেশির সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
  3. ডায়রিয়া ভালো করে। কাঁচা কলাই থাকা বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদান শরীরকে ডায়রিয়া থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। ডায়রিয়া রোগীদের কাঁচা কলার তরকারি নিয়মিত খাওয়ালে দ্রুত ডায়রিয়া সেরে যাবে।
  4. মাথা ব্যথা দূর করবে। কাঁচা কলায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি মাথা ব্যথার সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে বেশ কার্যকরী। যাদের মাথা ব্যাথার সমস্যা আছে , তারা নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে। মাথাব্যথা সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
  5. ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা গলায় থাকা বিভিন্ন উপাদান যেমন ভিটামিন সি , আইরন , পটাশিয়াম ইত্যাদি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত কাঁচা কলার তরকারি খেতে পারেন।
  6. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা কলায় থাকা পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পটাশিয়াম দেহের রক্তনালীর চাপ কমিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
  7. হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কাঁচা কলায় থাকা পটাশিয়াম , খনিজ পদার্থ সহ বিভিন্ন রকম উপাদান দেহের রক্তনালীর এবং ধমনীর উচ্চ রক্তচাপ কমায়। যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
  8. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা কলাই থাকা ভিটামিন বি ৬ রক্তের সুগারের পরিমাণ হ্রাস করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণের রাখতে নিয়মিত খাবার তালিকায় কাঁচা কলা যোগ করুন।
  9. রক্তশূন্যতা দূর করে। কাঁচা কলাই থাকা ফোন ইস পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম , আয়রন , ফসফরাস , ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
  10. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা কলায় থাকা বিভিন্ন রকম খাদ্য আঁশ শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে , এবং কষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে , এবং কাঁচা করায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলাতে ও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান মজুদ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ। শরীরের পেশি মজবুত এবং শক্তিশালী করতে বিশেষভাবে কার্যকরী কাঁচা কলা। এছাড়াও আরো অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে বেশ কার্যকরী কাঁচা কলা। 
নিচে কাঁচা কলার পুষ্টিগুন সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
  1. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা কলাই থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আমাদের শরীরকে চাঙ্গা এবং প্রাণবন্ত করে।
  2. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  3. ত্বক ভালো রাখে। কাঁচা গলায় থাকার ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন সি উপাদান আমাদের ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  4. হজমে সাহায্য করে। কাঁচা কলাই স্ট্রেসের পাশাপাশি এন্টিঅক্সিডেন্ট মজুদ থাকায় আমাদের শরীরে খাবার হজম দ্রুত করতে সাহায্য করে।
  5. ওজন কমায়। কাঁচা কলায় থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ এবং চর্বি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  6. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাঁচা কলায় থাকা ফাইবার পাকস্থলীর হজম না হওয়া উচ্ছিষ্ট , বা অস্বাস্থ্যকর জিনিস দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। আপনার যদি কষ্ট কাঠিন্যের সমস্যা হয়। তাহলে আপনি নিয়মিত কাঁচা কলা খেতে পারেন।
  7. কিডনি সমস্যা দূর করে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত কাঁচা কলাই থাকা পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  8. ক্ষুধা কমায় কাঁচা কলা। অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত বা বেশি বেশি খাওয়ার কারণে আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদের সৃষ্টি হয়। কাঁচা কলায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  9. কোলেস্টেরল ঠিক রাখে। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা মজুদ থাকে। নিয়মিত শর্করা খাবার ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কাঁচা কলা।
  10. পেটের যে কোন সমস্যা দূর করে। কাঁচা কলাই থাকা ফাইভার , ভিটামিন সি , পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খাবার তালিকায় কাঁচা কলা যোগ করুন।

কাঁচা কলায় কি কি ভিটামিন আছে

প্রচুর ভিটামিন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর কাঁচা কলা। কাঁচা কলাই থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ। বিভিন্ন বড় বড় রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিজে কাঁচা কি কি ভিটামিন রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • ভিটামিন সি।
  • ভিটামিন বি ৬।
  • পটাশিয়াম।
  • আয়রন।
  • ফাইবার।
  • শর্করা।
  • ম্যাগনেসিয়াম।
  • ভিটামিন বি ৪।
  • ফসফেট।
  • ভিটামিন এ।
  • এনজাইম।
  • ফসফরাস।

কাঁচা কলার খোসার উপকারিতা

আমরা প্রায় সকলেই শুধু কলা টাই খায় এবং খোসাটা ফেলে দেই। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন , কলার চেয়ে কলার খোসাতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কলার খোসায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  1. মস্তিষ্ক ভালো রাখে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে কলার খোসাই ট্র্যাইপটোফেন নামক এক ধরনের অ্যাসিড রয়েছে। যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে এবং মস্তিষ্কের সুখী হরমোন বৃদ্ধি করে।
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলার খোসায় থাকা ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং শরীর ফিট রাখতে বিশেষ কার্যকরী কলার খোসা।
  3. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কলার খোসায় থাকা আশ শরীরের কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। এবং কলার খোসায় থাকা আশ শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  4. মুখের দাগ দূর করে। কলার খোসায় থাকা ভিটামিন এ , বি , সি , পটাশিয়াম , ইত্যাদি উপাদান মুখের দাগ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে বিশেষ কার্যকরী।
  5. চোখের ভালো রাখে। কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের চুলকানি ভালো করে , এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  6. দাঁত ভালো রাখে। কলার খোসায় থাকা ভিটামিন সি , পটাশিয়াম সহ আরো উপাদান দাঁতের বিভিন্ন রোগ ভালো করে এবং দাঁতের গোড়া মজবুত করে

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকার রয়েছে। কাচা কলায় থাকা আইরন , ফলিক অ্যাসিড , ভিটামিন সি , ফাইবার , শর্করা , ভিটামিন এ , সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান যা গর্ভস্থ শিশুর এবং মায়ের উভয়েরই শরীরের পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি করে। এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সমূহ নিষ্কাশনে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে , গর্ভবতী থাকাকালীন সময় বেশি খাবার প্রয়োজন হয়। একজন গর্ববতী মায়ের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪০০ ক্যালোরি খাবার প্রয়োজন হয়। আর ১টা কলায় প্রায় ১০০০ ক্যালোরি মজুদ থাকে। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য কাঁচা খোলা হতে পারে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তবে আপনি খাবার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত পরামর্শ করে নিবেন।

কাঁচা কলা খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা কলা আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন।
  • কাঁচা কলা আপনি কাঁচা অবস্থায় ভালোভাবে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।
  • কাঁচা কলা আপনি সবজি বা তরকারি হিসেবে খেতে পারেন।
  • কাঁচা কলা আপনি ভাজি হিসাবে খেতে পারেন।
  • কাঁচা কলা সেদ্ধ করে আপনি ভর্তা হিসেবে খেতে পারেন।
  • কাঁচা কলা আপনি বিভিন্ন উপায়ে চাটনি হিসেবে খেতে পারেন।

কাঁচা কলার অপকারিতা

  1. আমরা উপরের আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম কাঁচা কলার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তবে কাঁচা কলা খাওয়া কিছু অসুবিধা ও রয়েছে।
  2. নিচে কাঁচা কলার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
  3. অতিরিক্ত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে , বুক জ্বালাপোড়া করা , এসিডিটি , সহ পেটের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  4. অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা , পেটে কৃমি হওয়া সহ পেটের নানান সমস্যা হতে পারে।
  5. অতিরিক্ত কাঁচা কলা খাবার ফলে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  6. অতিরিক্ত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হাঁপানির সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  7. বেশি কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে কষ্টকাঠিন্য হতে পারে।
  8. অতিরিক্ত বা বেশি পরিমাণে কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাবার হজম করার সমস্যা দেখা দেয়। এবং পেটে গ্যাস সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  9. অতিরিক্ত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। তাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

লেখক এর মতামত

পরিশেষে বলতে গেলে আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সহ কাঁচা কলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলাম। আশা করছি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি কাঁচা কলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। 
যে কোন বিষয়ে আপনার কোন জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে তথ্যপ্রযুক্তি , স্বাস্থ্য সহ সমসাময়িক সকল আপডেট নিউজ এবং ইনফরমেশন নিয়মিত পাবলিশ করা হয়। এরকম তথ্যবহুল পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url