মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

 নাকের পলিপাস কি নাকের পলিপাস কি কারনে হয়

প্রিয় বন্ধুগণ আপনি কি মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন, আজকের পোস্টটিতে আমরা মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব, অতএব আপনি যদি এই বিষয়ের না জেনে থাকেন তাহলে মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন।

মাথা ব্যথা অনেক সময় আমাদের অনেক রকমের সমস্যা হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মাথা ব্যথা সম্বন্ধে আমাদের অনেকের অনেক রকম মতামত রয়েছে, আজ আমরা জানবো মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় সম্বন্ধে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

ভূমিকা

প্রিয় পাঠকগণ মাথাব্যথার কথা বর্তমান সময়ে প্রায়শই শোনা যায়। এমনকি আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে প্রায়ই মাথাব্যথা শিকার হয় অনেক সময় চিন্তার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে আজ আমরা আলোচনা করেছি মাথা ব্যাথা কেন হয় মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি আরো বিস্তারিতভাবে
আপনি যদি এসব বিষয়গুলো সম্বন্ধে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন, আপনি আর্টিকেলটি পড়ার শুরুতেই পোস্ট সূচীপত্র দেখতে পাবেন সেখানে অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে আপনি যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সেই প্রশ্ন ক্লিক করলেই সরাসরি আপনার স্ক্রিনের সামনে আপনার সেই প্রশ্নের কাঙ্খিত উত্তর পেয়ে যাবেন।

মাথা ব্যথার কারণ

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে মাথা ব্যথার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন মাইগ্রেন, অতিরিক্ত টেনশনের কারণে মাথা বেথা , চোখ , কান , নাক , গলার , সমস্যা হলেও মাথা ব্যথা হতে পারে,
বর্তমান সময়ে পুরুষের চেয়ে নারীরাই মাইগ্রেনে বেশি ভুগে থাকেন। ২২ থেকে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে মাইগ্রেন এ ভুগতে দেখা যায়। পারিবারিক মাইগ্রেনের ইতিহাস থাকলেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের লক্ষ্যগুলো হলো , মাথার যে কোন একপাশে প্রচন্ড রকমের ব্যথা হয। মাইগ্রেন এর ব্যথা ৭ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে , মাথার যেই দিকে ব্যথা সেই দিকের রগ ফুলে থাকবে, বেশি আলো বা অতিরিক্ত শব্দের তীব্রতার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অটিজম কেন হয় অটিজমের লক্ষণ গুলো কি
মাইগ্রেন কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু কারণে মাইগ্রেন হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যেতে পারে , যেমন মানসিক চাপে ভুক্ত থাকা , ব্যথা নাশক ঔষধের দৈনন্দিন ব্যবহার ,এছাড়াও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে ,
এছাড়াও মাথা ব্যথার আরো অনেক কারণ রয়েছে। যেমন চোখের পাওয়ার এর পরিবর্তন হলে বা একটানা কম্পিউটার বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে , মদ্দ পান বা ব্ল্যাক কফি অতিরিক্ত পান করলে , রাতে ঘুমানোর সময় ঘাড়ে চাপ লাগা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে , অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ও মাথা ব্যাথা হতে পারে , কোন রাসায়নিক গন্ধ থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে।

গ্যাস থেকে মাথা ব্যাথা

খাবার খাওয়ার পর দুর্বল হজমের কারণে ও মাথা ব্যাথা হতে পারে। খাবর ঠিকমতো পেটে হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে যার কারণে মাথার একপাশে ব্যথা শুরু হয়। মানব দেহে কার্বন ডাই-অক্সাইডের গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
বিভিন্ন চিকিৎসকদের মতে মানুষের শরীরে যখন কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি ঠিক মতো হজম করতে পারে না , তখন পেটে গ্যাস তৈরি হয়। কিছু গবেষণায় এটাও প্রকাশ পেয়েছে যে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা হয় তাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন কেন হয় ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে জমে থাকা গ্যাস যদি সঠিকভাবে নির্গত না হয় তাহলে মাথা যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝবেন হজমের কোন অসুখে আপনি আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে হ্যাঁ পেটে গ্যাস হলে যে আপনার গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা হবে সেটাও কিন্তু না। তাই এটা কখনো মনে করবেন না যে গ্যাস হয়েছে বলে গ্যাস থেকেই আপনার মাথা ব্যাথা হচ্ছে এবং আপনি গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি

চিকিৎসকদের মতে খুব পরিচিত এই দুটি কারণ হলো মাথা ব্যথার, মাইগ্রেন আর টেনশন। তার মধ্যে থেকে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশই টেনশন জনিত মাথাব্যথা, ১১ শতাংশ মাথা ব্যথার কারণ মাইগ্রেন।
ধূমপান ,মাদকাসক্তি , ও অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবন , রোধ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া , অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম , এগুলো হচ্ছে ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়ার মধ্যে অন্যতম কারণ।
যারা অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক চাপে ভোগেন ইত্যাদি এসব কারনে আপনার ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে। মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাথায় অনেক চাপ পড়ে এবং অতিরিক্ত টেনশন করার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
অতিরিক্ত কম্পিউটার মনিটর স্ক্রিনের সামনে থাকা , দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল চ্যাটিং করা , ইত্যাদি কারণগুলো থেকে আপনার অবশ্যই মাথা ব্যথা হতে পারে।.
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে প্রায়ই দেড়শ প্রকার মাথাব্যথা রয়েছে প্রতিটি মাথা ব্যাথার সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। মাথা ব্যাথা হলে অবশ্যই অবহেলা করা উচিত নয়। সামান্য কারণে মাথাব্যথা হতে পারে এবং অনেক বড় রকমের অসুখ এর জন্য ও আপনার মাথা ব্যাথা হতে পারে। তাই মাথাব্যথার জন্য পুরো অসুখটাকে দেখিয়ে তারপরে সঠিকভাবে খুঁজে বের করে সঠিক রোগের চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: হেঁচকি থামানোর উপায় কি - বিস্তারিত জানুন

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

মাথা ব্যথার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা দেওয়া অনেক কঠিন । বলা হয় এটি এমন একটা ধরনের ব্যথার অনুভূতি যা মাথা ও মাথার চারপাশে হতে পারে। যেহেতু এটি প্রায় মানুষেরই হয় সেহেতু এটা গুরুত্বপূর্ণ রোগের লক্ষণ নাও হতে পারে। তবে কিছু কিছু মাথা ব্যাথা আছে সেগুলোকে কিছু গুরুতর রোগের উপসর্গ বলা হয়ে থাকে।
বিশ্ব হেডেক সোসাইটি মাথাব্যথা কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করেছে।
প্রথমটি হল প্রাইমারি হেডেক। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের মাথাব্যথা গুলো প্রাইমারি হেডেক , এগুলো সিরিয়াস কোন রোগের নির্দেশনা করে না ।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে সেকেন্ডারি হেডেক। এই সেকেন্ডারি হেডেকটি হচ্ছে এটি মাথা ,ঘাড় বা শরীরের বিভিন্ন অংশের সিরিয়াস কোন রোগ নির্দেশনা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে মাথাব্যথা অল্প বা বেশি কোনটাই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এটি শুধু মাত্র একটি উপসর্গই নয় জটিল কোন রোগের আগমন ও হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে জিরো থেকে দশ এর স্কেলে সাতটি গুরুতর মত মাথা ব্যাথার প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে , এমন অবস্থাকে গুরুতর মাথাব্যথা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে চিকিৎসকগণ।
তাই মাথা ব্যথার যেসব উপশর্গ গুলো দেখা দিলে আপনারা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিবেন তা হল। কোন বস্তু দুইবার দেখা , বমি হওয়া , চোখ দিয়ে পানি পড়া, জ্বর বা অতিরিক্ত ঘামতে থাকা , ক্লান্তিবোধ হওয়া , মাথা বেথার ওষুধ বারবার খাওয়ার পরেও ব্যথা না কমা, 72 ঘণ্টার মধ্যে আবারো মাথাব্যথা শুরু হওয়া ইত্যাদি , উপসর্গগুলো হলে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিন।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়

মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে কার্যকরী উপায় হচ্ছে , পিপারমেন্টের মত কোন সুগন্ধি ফ্লেভারের তেল দিয়ে মাথা ব্যাথার অংশটা মেসেজ করলে মাথা যন্ত্রণা অনেকটা কমে। এবং চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন , মাথা ব্যথা কমানোর জন্য কার্যকর একটি উপায় হতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি হলো মাথার রগের দুটো পাশ ও ঘাড়ের কাছে যদি খানিকক্ষণের জন্য আঙ্গুল দিয়ে মেসেজ করেন তবে আরাম পাবেন। ক্লান্তির বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এর কারণে মাথা ব্যথা করলে এই ম্যাসাজ টি কাজে দিবে আপনার।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
অনেক সময় অতিরিক্ত আলো বা শব্দের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তাই মাথা যন্ত্রণা করলে অতিরিক্ত আলো এবং শব্দ কে এড়িয়ে চলুন।
মাথা ব্যথা করলে হাতের আঙ্গুলের ডগায় এসেনসিয়াল অয়েল লাগিয়ে কপালে আর রগে ম্যাসাজ করুন , তাহলে দেখবেন আপনার মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
ঘরোয়া ভাবে মাথা ব্যথা কমানোর আরো একটি উপায় হচ্ছে। বেশি বেশি পানি পান করুন আসলে শরীরে পানির ঘাটতি হলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। পানির ঘাটতি হলে যেমন ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকে মাথাব্যথা হতে পারে, তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।
মাথা ব্যথার হওয়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে , ঠিকমতো ঘুম না হওয়া। তাই ঠিকমত ঘুম হওয়াটা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একটি গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম কম হলে বা ইনসোমেনিয়া থাকলে মাথা ব্যথার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
মাথা ব্যথা কমানোর আরো একটি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে। সমপরিমাণ আদার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে খান মাথাব্যথা থাকলে দুই থেকে তিনবার এটি খেতে পারেন, মাথা বেথা কমাতে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।
পুদিনা পাতার রস, পুদিনা পাতায় রয়েছে অনেক পরিমাণে ম্যানহোল, পুদিনা পাতার রস আপনি মাথাব্যথার স্থানে মেসেজ করলে আপনার মাথা ব্যথা কমে যাবে।

লেখক এর কথা

প্রিয় পাঠক আজ আমরা উপরের পোস্টটি থেকে জানতে পারলাম মাথা ব্যথার কারণ মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় সম্বন্ধে বিস্তারিত আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি খুব ভালোভাবে পেয়ে গেছেন আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি করুন এবং নিয়মিত এরকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url