জ্বর কেন হয় জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি

 

প্রিয় পাঠক আপনি কি জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত বা আপনি কি জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে, আপনি যদি জেনে না থাকেন জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি

জ্বর হচ্ছে শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান লক্ষণ যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬-৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সাধারণত ঠান্ডা অনুভূত হয় উচ্চ নির্দিষ্ট সুযোগ থেকে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হলে গরম অনুভূত হয়। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নেইজ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এই ব্যাপারে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচীপত্রঃ জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছেন আজ আমরা জানবোজ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এই বিষয় নিয়ে ,জ্বর হচ্ছে একটি শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান লক্ষণ , জ্বর নিয়ে অনেক সময় আমাদেরকে নানান রকম বিরম্বনাই পড়তে হয়, যেমন হুট করে জ্বর চলে আসা।

জ্বর আসলে আপনি কোন ওষুধ খাবেন, রাত্রে হুট করে জ্বর চলে আসলে আপনি কি করবেন ,জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি ইত্যাদি সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আশা করছি এই পোস্টটি পড়লে আপনি কেন জ্বর হয় এবং জ্বর হলে করনীয় গুলো কি কি  এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি নিম্নে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

জ্বর কেন হয়

অনেক কারণেই জ্বর হতে পারে কিছু তথ্য থেকে জানা যায় উচ্চ তাপমাত্রাইয় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যদিও জ্বরের উপকারিতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে তবে অ্যান্টি বায়োটক ওষুধ ব্যবহার করে জ্বর কমানো যায়। 
কযে কোন ইনফেকশনের সময় শরীর যখন আমাদের রক্ষার চেষ্টা করে তখন জ্বর হয়, এতে সারাদিন শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে সাধারণত সকালের দিকে কম থাকে সন্ধ্যার পর বেড়ে যায়। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় জ্বর কোন রোগ নয় জ্বর হচ্ছে অন্য কোন রোগের উপসর্গ, ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের কোষ প্রাচীর থেকে পাইরোজেন এবং কিছু টক্সিন জাতীয় পদার্থের নিঃসরণের কারণে জ্বর হয়, এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে আসলে জ্বর হতে পারে। 

কিছু বিশেষজ্ঞের মতে জর কিছু কিছু ভাইরাস জনিত কারণেও বেশি হয় , ঋতু পরিবর্তনের কারণে হলে জ্বর থাকে শরীর কামড়ায় , শরীরে ব্যথা হয় , সর্দি থাকে , তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে শরীরের ভেতর লাল লাল দানা হয় চুলকানি হয় ইত্যাদি। 

জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

জ্বর হলে চিন্তার কিছু নাই আমাদেরদেহের ইমিউন সিস্টেমের এক হাতিয়ার হল জ্বর, আমাদের দেহে পাইরোজেন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করার মাধ্যমে জ্বর আসে , এতে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ অনেক ক্ষতিকর জীবাণু এবং ক্ষতিকর ভাইরাস কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। 

আমরা সাধারণত  জ্বর সর্দি শরীর ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে থাকি এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী কম টাকায় খুব সহজে দ্রুত ফলাফল মেলে তবে এ ডোজ বেশি খাওয়া নিয়ে সাবধান হতে হবে জানতে হবে কখন খেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে প্যারাসিটামল একটি ম্যাজিক ওষুধ এই ওষুধ এ মানুষের নানানা সমস্যা দূর হয়, তাই প্রায় প্রতি বাড়িতেই সব সময় এই ওষুধটি মজুদ থাকে, তবে বহু ক্ষেত্রেই অনেকে বুঝতে পারেন না এই ওষুধের ডোজ কি হওয়া উচিত।
সামান্য কিছুতেই আমরা প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে ফেলি এটা একটা বদ অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছি আমরা ,এই ওষুধ আপনি যদি একটু বেশি  ডজ এ খান তাহলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্যারাসিটামল হচ্ছে একটি নিরাপদ ওষুধ তবে তা খেতে হবে নির্দিষ্ট মাত্রায় , নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি খেলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে আর তা অত্যন্ত খারাপ দিকে প্রবাহিত হতে পারে।  বিশেষজ্ঞদের মতে প্যারাসিটামল মানুষের কিছু রাসায়নিক ক্ষরণে বাধা দেয় এই রাসায়নিক গুলি ব্যথা ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী ,

প্যারাসিটামল মূলত দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় , প্রধানত জ্বর কমাতে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় এই ওষুধ খেলে জ্বর কিছুক্ষণের মধ্যে কমে তাই মোটামুটি সারা পৃথিবীতে জ্বরের ঔষধ হিসাবে প্যারাসিটামল এর ব্যবহার হয়, এছাড়াও ব্যথা দূর করতে ও এর তুলনা হয়ন,   অন্যান্য ব্যথার ওষুধ খাওয়ার চেয়ে প্যারাসিটামল বহুগুনে নিরাপদ এমনকি ব্যথা কমেও দ্রুত মাথা ব্যথাতে ও ওষুধটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

ঠান্ডা জ্বর হলে করণীয় কি

সাধারণত ঋতু বদল হওয়ার কারণে বা আবহাওয়া বদলানোর কারণে ঠান্ডা জ্বর হয়ে থাকে , ঠান্ডা জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে বাসায় থেকেই আপনি কিছু বিষয় মেনে চললে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই আপনার জ্বর সেরে উঠবে। 
তবে ঠান্ডা জ্বরের কারণ নির্ভর করে আপনার শরীরের জ্বরের স্থায়িত্ব গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি কম বেশি হতে পারে , ঠান্ডা জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কি করবেন তার কিছু পদ্ধতি দেওয়া হলো। 

প্রাপ্তবয়স্কদের ঠান্ডা জ্বর হলে
  • জ্বর হওয়ার প্রথম দুই তিন দিন শুধু সঠিক পরিমাণে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ান ,জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসুটামলের পরিবর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ সেবন করবেন না
  • জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে পূর্ণ বিশ্রাম করুন
  • যাদের ডাইবেটিক ,হার্টের রোগ বা অন্য কোন জটিল রোগ রয়েছে তারা খুব সতর্ক থাকুন
  • এসির মধ্যে কম থাকার চেষ্টা করুন অনেক সময় এসি থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে
  • জ্বর এলে বারবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শরীর মুছুন এবং মাথায় বারবার জলপট্টি দিন
  • জোরে স্বার্থে হালকা সর্দি কাশি থাকলে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন
শিশুদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা জ্বর হলে
  • জ্বরের সময় পানি শূন্যতা রোধে মায়ের দুধ এর বিকল্প নাই তাই শিশুদের ঠান্ডা জ্বর হলে ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়া এই সময় আমাদেরও সত্য না চলাফেরা করতে হবে
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর বয়স ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ বা পেডিয়াট্রিক ড্রপ খাওয়ান
  • শিশুকে হালকা গরম পানি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে গোসল করাতে পারেন
  • অতিরিক্ত জ্বর হলে শিশুকে বেশি বেশি কাপড় চোপড় দিয়ে বা কথা দিয়ে ঢেকে ঢাকা থেকে বিরত থাকুন
  • ঠান্ডা জ্বরের সময় খেলাধুলা থেকে শিশুদেরকে বিরত রাখুন
  • অতিরিক্ত সর্দি কাশি হলে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় সিরাপ বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন

বার বার জ্বর আসার কারণ

থেমে থেমে জ্বর আসার কারণ বা বারবার জ্বর আসার কারণ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঠান্ডা লেগে জ্বর বা সর্দি হওয়া , এছাড়াও ভাইরাস জনিত কারণে বা ভাইরাসের কারণে শরীরে বার বার জ্বর দেখা দিতে পারে জটিল কোন রোগের কারণে ও বারবার জ্বর  দেখা দিতে পারে।বারবার জ্বর হওয়া আমাদের শরীরের দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লক্ষণ। 

আপনার বারবার জ্বর হচ্ছে মানুষ আপনার শরীরে বড় কোন রোগ বাসা বেধেছে কিংবা বাসা বাঁধার চেষ্টা করছে অথবা আপনার শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করেছে তবে একটি কথা সব সমস্যার মূলে কিন্তু রয়েছে আপনার শরীরের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই আপনার শরীরে বারবার জ্বর আসা প্রতিরোধ করতে বা কমাতে চাইলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।

এমন সব অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যাতে করে আপনার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুনে বৃদ্ধি পায়  সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ পরিবেশে থাকতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনাকে ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার হাটাহাটি এবং ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে হবে। বারবার জ্বর আসা বা ঘন ঘন জ্বর আসা জটিল কোন রোগের লক্ষণও হতে পারে তাই এই ব্যাপারটিকে মোটেই হালকাভাবে নিবেন না, বারবার জ্বর আসলে বা ঘন ঘন জ্বর আসলে আপনি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। 

রাতে জ্বর আসার কারণ

অনেকের শুধু রাতে জ্বর আসে রাতে জ্বরে ছটফট করেন ঘুম হয় না ও সকালে ক্লান্তি বোধ হয়। রাতে জ্বরের ফলে ডিহাইড্রেশন ডিপ্রেশন অতিরিক্ত যন্ত্রণা বোধ এলার্জি ঘুম ঘুম ইত্যাদি থেকে যায়, বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিষেধক কোস গুলো দিনের বেলায় কাজ করতে সক্ষম হয়। এ কারণে দিনের বেলা জর বা সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং রাতে রোগ প্রতিরোধ কোষগুলো তুলনামূলক কম সক্রিয় থাকায় শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করার আশায় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এতে জ্বর হয়।রাতে জ্বর হওয়ার কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো । 
  • শ্বাসযন্ত্রের  সংক্রমণে রাত্রে জ্বর হয়, গলা ব্যথা সর্দি কাশি থেকেও রাত্রে জ্বর হতে পারে কখনো কখনো এটি কয়েকদিনের মধ্যে নিরাময় হয় তবে হালকা ভাবে নেওয়া গেলে এই সংক্রমণ সহজে না গেলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রাত্রে জ্বর হতে পারে, রাত্রে বার বার জ্বর হওয়ার কারণ  ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে যক্ষা হতে পারে এই কারণে ও রাত্রে আপনার বারবার জ্বর হতে পারে। 
  • মূত্রনালী সংক্রমণে ও রাত্রে জ্বর হতে পারে, মূত্রনালী সংক্রমণ যদি হয়ে থাকে তাহলে কেবল রাত্রে বারবার জ্বর আসতে পারে আপনার যদি মুসলমানদের সংক্রমণের সমস্যা হয় তাহলে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন 
  • এলার্জির কারণেও রাত্রে জ্বর হতে পারে, আপনার যদি এলার্জি থাকে তাহলে অ্যালার্জির কারণেও রাত্রে বার বার জ্বর হতে পারে 
  • ত্বকের সংক্রমণের কারণেও রাত্রে জ্বর হতে পারে, আপনি হয়তো বা জানেন না ত্বকের সংক্রমণের কারণেও রাত্রে বার বার জ্বর হতে পারে।
  • বাহ্যিক পায়রোগেন্স এর কারণেও রাতে জ্বর হয়, পায়রগেনগুলির উপাদান সাধারণত এন্ড্রো টক্সিন এর মত জীবনু থেকে প্রাপ্ত করে এবং রাতে জ্বরের আক্রমণ করে এই পারোগনগুলি। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় 

জ্বর কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো 
  •  জ্বর কমাতে আদা ও মধু,,এক চামচ মধু এবং একটি লেবুর  অর্ধেক অংশটুকুর রস বের করে এক গ্লাস পানিতে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে এরপর মধু এবং লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার পান করুন। 
  • রসুনের ব্যবহার,, এক থেকে দুই কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে এবং বেটে গরম পানির মধ্যে ৮-১২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এরপর আরো ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি পান করুন, তাতে আপনার শরীরের অনেক ব্যথা কমে যাবে 
  • তুলসী পাতা এবং মধু,,আপনি প্রথমে কিছু তুলসী পাতা পানির মধ্যে ধুয়ে নিন এরপর পানির মধ্যে দিয়ে ফুটান অথবা গরম করে নিন, এটি ঠান্ডা করে এর পানি গুলো প্রতিদিন সকালে পান করুন আশা করি এতে আপনি ভালো কিছু ফল পাবেন। 
  • হালকা গরম পানিতে গোসল করুন,, জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং ঠান্ডা লাগে আপনার জ্বর যখন বেশি হবে তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন 
  • জ্বর কমাতে সক ট্রিটমেন্ট,, প্রথমে একটি বালতি বা খোলামেলা পাত্রে কুসুম গরম পানি নেন পানিতে আপনার পা পাশ থেকে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন অন্যদিকে একজোড়া কটনের মৌজা কে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন, এরপর গরম পানি থেকে পা উঠিয়ে মজা করে নিন পরবর্তীতে এর উপরে শুকনো এক জোড়া কসময় মজা পড়ে নি এভাবে করলে পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চিত হবে ফলে শরীরে ধাপ কমবে। 
  • জ্বর কমাতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি বেশি খান,, এগুলো ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহযোগিতা করে ভিটামিন সি জাতীয় ফল শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে, ভিটামিন জাতীয় খাবার যেমন কমলা মাল্টা লেবু ইত্যাদি 
  • বেশি বেশি পানি পান করুন,, শরীরে জ্বর হলে শরীরের পানি কমে যাবার সম্ভাবনা থাকে কারণ জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেক গুণ বেশি হয়ে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে, তাই শরীরে পানির চাহিদা বেশি থাকে ১০থেকে ১২ গ্লাসের   মত পানি পান করুন। 

লেখক এর কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি তে জ্বর কেন হয়  জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি জ্বর হলে কোন ওষুধ খাবেন রাত্রে জ্বর হলে কি করবেন বারবার জ্বর হলে কি করবেন জ্বর ভালো হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে  সম্পূর্ণ পড়ে নিন। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url