ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা

প্রিয় পাঠক আপনি কি ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন , কেননা আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা সহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে। উক্ত বিষয়গুলো জানার জন্য আজকের পোস্টটি না টেনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে।
ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা
১৯৪৮ সালের বৃটিশরা ফিলিস্তিন ছেড়ে যাওয়ার পর ইহুদি নেতারা ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন । কিন্তু এটা বহু ফিলিস্তিনে প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ। আজ আমাদের আর্টিকেলটির মূল আলোচ্য বিষয় ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা এবং আরো বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা ভূমিকা

ফিলিস্তিন হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অধীনে থাকা একটি রাষ্ট্র , যা ইহুদী এবং খ্রিস্টান ধর্মের আতর ঘর হিসেবে পরিচিত। এবং মুসলমানদের পবিত্র ভূমির একটি। ফিলিস্তিন বরাবরই তিন ধর্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। আজ আমরা আপনাদের জানাবো ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা ,ফিলিস্তিনের ইতিহাস ২০২৩ ,ফিলিস্তিনের আয়তন ও জনসংখ্যা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত । তাই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না টেনে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ জানতে হলে , প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেই । যেটি তখন আরব এবং ইহুদী সংখ্যালঘুর এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্রিটেনকে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব দেয়। যেটি স্বভাবতই মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ দশকের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের সংখ্যা বহু সংখ্যক বেড়ে গেল। এবং ইহুদিরা ফিলিস্তিনে তাদের মাতৃভূমি তৈরীর লক্ষ্যে আরবদের সাথে বিভিন্ন সংঘাত এবং সহিংসতায় জড়িয়ে গেল।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে একটি ভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ইহুদী রাষ্ট্র এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব রাখা হলো । কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আরব নেতারা প্রত্যাখ্যান করে। এই সমস্যার কোন সমাধান করতে না পেরে ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ছেড়ে দিল। এরপর ইহুদী নেতারা ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করে । কিন্তু এই সংবাদ এ বহু ফিলিস্তিনি এর প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি রেখে চলে যেতে নানা রকম অত্যাচার এবং নির্যাতন শুরু করল ইহুদিরা।
পরের বছর ১৯৪৯ সালে যুদ্ধ বিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় যুদ্ধ। কিন্তু ততদিনে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ অঞ্চলগুলো ইসরাইল দখল করে নেয়। এরপর ১৯৬৭ সালে আরেকটি আরব এবং ইসরাইল যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নেয় । সাথে জেরুজালেম ও দখল করে নেই এবং জেরু জালেমকেই তারা তাদের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করে। এবং অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসাবে পেতে চাই। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন দের মধ্যে যুদ্ধ লেগেই থাকে।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা । শনিবার ৭ অক্টোবর ২০২৩ গাঁজা থেকে ইসরাইলে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করে দেশটি। এতে দেশটির একজন নাগরিক নিহত হয়। এবং বেশ কয়েকজন নাগরিক আহত সহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর হামাস বাহিনী ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে শুরু করে।
তবে ইসরাইল সাংবাদিকদের বিশ্লেষণ করা সূত্র মতে। গাজায় ৪ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ইসরাইল। বর্তমানে ক্ষমতাধর ইসরাইলের নেতাদের একটি অংশ যুক্ত হামলার জবাবে গজায় নির্বিচারে অভিযান এবং নির্যাতন চালানোর পক্ষে। তবে এও জানা গেছে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক এবং বেসামরিক নাগরিকগণ । এবং সাত অক্টোবরের এই হামলায় ফিলিস্তিন সংগঠন মাসের হামলায় ইয়ম কিপুর যুদ্ধের আভাস পাচ্ছেন ইসরাইলি নেতারা।
তবে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের এবং গবেষকদের মতে গাজায় একটি বড় ইসরাইলে হামলা প্রায় অনিবার্য। বর্তমান পরিস্থিতিকে আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা হিসাবে অভিহিত করেছেন গবেষকগণ।

ফিলিস্তিনের ইতিহাস ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাঞ্চেলের একটি ভূখণ্ড হচ্ছে ফিলিস্তিন। যেটি জর্ডান নদী ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত। আফ্রিকা ইউরোপ ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে ফিলিস্তিনে। এটি খৃষ্ট ধর্ম এবং ইহুদী ধর্মের আঁতুর ঘর হিসেবে পরিচিত। দুটি প্রধান ধর্মের আতর ঘর হওয়ায় স্বভাবতই ফিলিস্তিনে রয়েছে ধর্ম বাণিজ্য রাজনীতির এক বিবর্ণ ইতিহাস। প্রাচীনকাল থেকেই আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের কিছু অংশ বিভিন্ন রকম মানুষদের দ্বারা শাসিত এবং পরিচালিত।
ফিলিস্তিন মূলত পৃথিবীর প্রাচীন অঞ্চলগুলো বা স্থানগুলোর একটি , যেখানে কৃষি নির্ভর জনসমষ্টি এবং মানুষের বসবাস এর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনে শাসন আমলের পর , ১৯৪৭ সালের ২৯ শে নভেম্বর ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইঙ্গ - মার্কিন চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ করা হয়। তাতে ৩৩ টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য , ১৩ টি বিপক্ষে , এবং দশটি দেশ ভোট প্রদানে বিরত থাকেন। এতে প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৫৭% স্থান ইহুদিরা এবং ৪৩% স্থান ফিলিস্তিনিরা পেল।
মূলত ফিলিস্তিন অঞ্চলের কার্যত মালিকানা পাওয়ার পর ইহুদী বসতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে , ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে শুরু করল , তাদের ঘরে বোমা নিক্ষেপ , জোর করে জমি দখল এবং নারীদের ধর্ষণ সহ নানান ধরনের অত্যাচার শুরু করল সরকার মদনপুষ্ট সেনাবাহিনী সহ স্থানীয় ইহুদীরা। এরপর ১৯৪৮ সালের ১২ মে ইহুদীরা ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষণা করল। সেটির প্রধান ছিল দাভিদ বেন গুড়িয়ন। ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষনার পর দশ মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

ফিলিস্তিনের আয়তন ও জনসংখ্যা

ফিলিস্তিন মূলত দুই রাষ্ট্রের দুইটি ভূখণ্ডে অবস্থিত এলাকা। ফিলিস্তিনের গাজা এবং পশ্চিম তীরে মোট প্রদেশ রয়েছে ১৬ টি।
গাজা
মোট জনসংখ্যা << ২৩,৪৫,১০৭
মোট আয়তন << ৫,৬৭১ বর্গ কিলোমিটার
গাজার মোট প্রদেশ ৫ টি। উত্তর গাঁজা , গাঁজা , রাফাহ , দেইর আল-বালা , খান ইউনিস।
পশ্চিম তীর
মোট জনসংখ্যা << ১৪,১৬,৫৩৯
মোট আয়তন << ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার
পশ্চিম তীরের মোট ১১ টি প্রদেশ রয়েছে। জেরুজালেম , তুবাস , নাব্লুুস , তুলকারম , কাল কিলিয়া , সালফিত , রামাল্লাহ , বেথলেহেম , হেব্রন , জেরিকো।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা শেষ কথা

প্রিয় পাঠক পরিশেষে বলতে গেলে আমরা উপরের আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা , ফিলিস্তিনের আয়তন ও জনসংখ্যা , ফিলিস্তিনের ইতিহাস ২০২৩ ইত্যাদি সম্পর্কে। 
আশা করছি আপনি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এ বিষয় নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। 
আমাদের ওয়েবসাইট এ নিয়মিত সমসাময়িক নিউজ , স্বাস্থ্য নিউজ , তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক নিউজ , সহ সকল প্রকার আপডেট নিউজ এবং ইনফরমেশন প্রতিদিন পাবলিশ করা হয়। এইরকম তথ্যবহুল পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url