সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি

প্রিয় বন্ধুগণ আপনি কি সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন, তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজ আমরা আলোচনা করব সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত। এটা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ফল হলেও সম্প্রতি আমাদের দেশের অনেক উদ্যোক্তা এই ফল চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তাই আজ আপনাদের জানাবো সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কে সকল তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি
সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এই ফলটি সাম্মাম নামেই বেশি পরিচিত। তবে বিভিন্ন দেশে এই ফলটিকে রক মেলন , সুইট মেলন , মাস্ক মেলন ইত্যাদি নামে অপরিচিত। সাম্মাম ফলটিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ অনেক পুষ্টি উপাদান মজুদ রয়েছে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি ভূমিকা

সাম্মাম ফল মূলত সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফলটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি। এই ফলটি অত্যন্ত সুগন্ধিযুক্ত একটি ফল। সাম্মাম ফলটি সম্প্রতি আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষ শুরু হয়েছে। ফলটি আমাদের দেশের নতুন হওয়ায় নতুন এবং তরুণ উদ্যোক্তারা খুব সহজেই ফলটি চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।
সে জন্য আপনাকে ফলটি সম্পর্কে এবং ফলটি চাষাবাদ সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আজকে আমাদের আয়োজন, সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সাম্মাম ফল কি

সাম্মাম ফল হচ্ছে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। সাম্মাম হচ্ছে একটি আরবি শব্দ , এর অর্থ খরমুজ বা খরবুজ। এই ফলটি মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশে এই ফলটি রক মেলন , সুইট মেলন , মাস্ক মেলন ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই ফলটি মূলত একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এই ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি ও সুগন্ধি যুক্ত একটি ফল। এই ফলটির বহির বিশ্বে অনেক চাহিদা রয়েছে।
এই ফলটি সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চাষাবাদ হচ্ছে। ফলটি দেখতে অনেকটি আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো। ফলটি সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি দেখতে অনেকটা হলুদ বর্ণের এবং খোসা মসৃণ ভেতরের অংশ লাল। এবং অন্যটি দেখতে অনেকটি সবুজ বর্ণের পাথরের মত যেটির খোসার অংশ খসখসে এবং ভেতরের অংশ লাল। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে হলুদ রঙের এই ফলটি চাষাবাদ হচ্ছে। এই ফলটি খেতে অত্যন্ত মিষ্টি এবং রসালো।

সাম্মাম ফলের উপকারিতা

প্রিয় পাঠক সাম্মাম ফল সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপরের পর্বটি পড়ে জানতে পারলাম। আমরা এই পর্বতে জানব সম্মান এর উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি সম্মান ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান , তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কেননা আজ আমরা সাম্মাম ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সম্মান ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
সাম্মাম ফল মূলত মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফল অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

সাম্মাম ফলে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস যারা পরিপূর্ণ যৌগগুলি এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গুন সম্পন্ন , যাহা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সাম্মাম ফলে থাকা ভিটামিন এ আমাদের শরীরের বিভিন্ন জানা-অজানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।

শরীর হাইড্রেটেড রাখে

একটি সাম্মাম ফলে ৯০% পানি থাকে , এবং দুই গ্রাম ফাইবার মজুদ থাকে যা আপনার শরীরের পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। এবং এটি ইলেক্ট্রোলাইটের শক্তিশালী উৎস হওয়াই রক্তের কোষের শক্তি বজায় রাখে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে

সাম্মাম ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ক্যারোটিনয়েড এবং জেকসানথিন , চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চোখের ছানি পড়া রোধ করে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

সাম্মাম ফলে থাকা ফোলেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফোলেট মূলত প্রাথমিক ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। সাম্মাম ফলে থাকা বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। সাম্মাম সম্পূরক গ্রহণ প্রোস্টেট এবং বিভিন্ন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও জটিল ক্যান্সারকে পরিপূরক এবং খুব সহজেই খারাপ অথবা প্রতিরোধ করতে পারে।

প্রদাহ বিরোধী

সাম্মাম ফল স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য একটি ভালো উৎস , এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিএন্ট যৌগপ্রদহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। প্রদাহ মূলত দীর্ঘস্থায়ী রোগের মূল প্রতিষেধক। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ এর ক্ষতি হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এবং বিরোধী প্রদাহ জনক বৈশিষ্ট্য গুলো শরীরের বাতের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

সাম্মাম ফলে থাকা ফাইভার যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সাম্মাম ফল খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করে ও অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই উপরের পর্বগুলো পড়ে জানতে পেরেছেন সাম্মাম ফল সম্পর্কে এবং সাম্মাম ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। আজকের এই পর্বটিতে আমরা আলোচনা করব সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তাই আমরা যারা সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। তাদের জন্য আজকের এই পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা আজ আমরা এই পর্বে আলোচনা করব সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন তাহলে জেনে নেব যাক সম্মান ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
সাম্মাম ফল মূলত মদ্ধপ্রাচ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। সম্প্রতি আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ফলটির চাষ শুরু হয়েছে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান মজুদ রয়েছে , যা আমাদের শরীরের এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কার্যকরী। সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
  • সাম্মাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • সাম্মাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , ভিটামিন সি , পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম সহ নানান ধরনের পুষ্টি উপকরণ।
  • সাম্মাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন , যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে বেশ কার্যকরী।
  • সাম্মাম ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চোখের দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • সাম্মাম ফলে ৯০ ভাগ পানি রয়েছে , যা শরীরকে ডি হাইড্রেশন থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সাম্মাম ফল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • সাম্মাম ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান , চুল মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • সাম্মাম ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • সাম্মাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি , বিটা ক্যারোটিন , পটাশিয়াম , ফলিক অ্যাসিড , ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , জিংক , ফসফরাস , মালিনিয়াম , ইত্যাদি।

সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক সাম্মাম ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সাম্মাম ফলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনি আজকের পোস্টটি শুরু থেকে পড়লে সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই পর্বে আজ আমরা আলোচনা করব সম্মান ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই সম্মান ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাংলাদেশের চাষ করা বিভিন্ন চাষীদের কাছ থেকে জানা যায় এই ফলটির রোগ বালাই তেমন একটি নেই। এর কাছে খুব সামান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এবং এই গাছটি সঠিকভাবে চাষাবাদ এবং নিয়মিত ফুলের পরাগায়ন হলে একটি গাছ থেকে বেশ কয়েকটি ফল উৎপাদন করা সম্ভব খুব সহজেই।
  • বীজ সংগ্রহঃ- বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে সাম্মাম ফল চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাম্মাম ফলের জাত যেমন হানি জুস, রকস্টার নামে বিভিন্ন জাতের সাম্মাম ফলের বীজ পাওয়া যাচ্ছে। আপনি নিকটস্থ যে কোন বীজের দোকানে সাম্মাম ফলের বীজ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি সম্মান ফল কেনার পর ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • সাম্মাম ফল চাষাবাদের সময়ঃ- এটি মূলত একটি গ্রীষ্মকালীন ফল, ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপনি সাম্মাম এর বীজ বা চারা রোপন করতে পারবেন। তবে আপনি ইচ্ছা করলেই নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সারা বছরই এই ফলটি চাষাবাদ করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ পরিচর্যা এবং যত্ন নিতে হবে।
  • বীজের পরিমাণঃ- এক বিঘা জমিতে ৯০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন পড়বে। সাম্মাম বীজের ১০ গ্রামের একটি প্যাকেটে প্রায় ৪০০ টি বীজ পাওয়া যায়।
  • চারা তৈরির নিয়মঃ- প্রথমেই বীজ প্যাকেট থেকে বের করে এক ঘন্টার রোদ্রায় শুকায় নিতে হবে। এরপর পলিব্যাগে মাটির মধ্যে একটি একটি করে বীজ দিয়ে পানি দিতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১৫ দিন পর চারা গজানোর পর ২ ফুট দূরত্বে প্রতিটি চারা রোপন করতে হবে।
  • সার তৈরি ও ব্যবস্থাপনাঃ- প্রতি শতকের জন্য প্রয়োজন পড়বে গোবর ১৫০ কেজি , জিপসম ৭৫ থেকে ৮০ কেজি , ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম , টিএসপি ১০ কেজি , পটাশ ১৫ কেজি , সালফার , এবং কীটনাশক ৫৫ থেকে ৬০ গ্রাম , এরপর সবগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতি শতক জমির জন্য পরিমিত হারে প্রয়োগ করতে হবে। এবং ১৫ দিন পর পর প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর জমিতে অবশ্যই পানি সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • রোগবলাই ও পোকামাকড় দমনঃ- সাম্মাম মূলত কুমড়া বা বাঙ্গি জাতীয় ফল। সেজন্য কুমড়া এবং ভাঙ্গি জাতীয় ফলে যেসব পোকামাকড় ও রোগ বালাই আক্রমণ করে , সেগুলো অনুযায়ী এই ফলের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাত দিন পর পর ৫৫ ইসি কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
  • পরিচর্যাঃ- সাম্মাম যেহেতু গ্রীষ্মকালীন ফল সেজন্য মাচা ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এবং মাথা ব্যবহার করার ফলে প্রতিটি কাছে যত্ন আলাদাভাবে নেওয়া যাবে। এবং সেই সাথে গাছের ভেতরের আগাছা গুলো সহজে পরিষ্কার করা যাবে। এবং ফলগুলো খুব সহজেই ব্যাগিং করে রাখা যাবে। অবশ্যই মনে রাখবেন গাছে ধরা প্রথম ফুল এবং ফল রাখা যাবে না এটি ধরা মাত্রই ভেঙে ফেলতে হবে, এবং নিয়মিত গাছের আগাছা এবং শাখা প্রশাখা ছেঁটে ফেলতে হবে।
  • ফল সংগ্রহর সময়ঃ- সাম্মাম ফল সংগ্রহ করতে পারবেন চারা রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই। প্রতিটি সাম্মাম ফলের ওজন ২ থেকে ২-৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

সাম্মাম ফল খাওয়ার নিয়ম

সাম্মাম ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে উপরে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম। এই পর্বে এখন আমরা জানবো সাম্মাম ফল খাওয়া আর নিয়ম সম্পর্কে। সাম্মন ফল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং রসালোযুক্ত একটি ফল। এই ফলটি মূলত কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই খুব সহজেই খাওয়া যায়। ফলটি মূলত বাঙ্গি বা তরমুজের মত দেখতে , তাই আপনি খুব সহজেই ফালি ফালি করে বাঙ্গি বা তরমুজের মত খেতে পারবেন

সাম্মাম ফলের দাম

সাম্মাম ফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা উপরের আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানতে চলেছি সাম্মাম ফলের দাম সম্পর্কে। তবে বিভিন্ন জায়গা ভেদে সাম্মাম ফলের দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে।
সাম্মাম ফলের বর্তমান পাইকারি বাজার দর হচ্ছে প্রতি কেজি আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় এক একটি ফল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এক একটি সাম্মাম ফল ১ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

সাম্মাম ফলের অপকারিতা

সাম্মাম ফলের উপকারিতা সহ সাম্মাম ফলের বিস্তারিত তথ্য উপরের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ানো মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানতে পেরেছি। তবে প্রত্যেকটা ফলের উপকারের পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। এই পর্বে আমরা বিস্তারিত জানব সাম্মাম ফলের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে। যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে , আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ গুলি ফিল্টার করতে নাও পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালিমিয়া নামক গুরুত্ব রোগ এর দিকে অবধারিত হতে পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের অ্যালার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে চিনির ওভারলোড আধিক্য হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শারীরিক শক্তি কমিয়ে শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।
  • সাম্মাম ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের জন্য খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপরের আর্টিকেলটি পড়ে আজ আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আশা করছি আপনি উপরের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - সাম্মাম ফল চাষ পদ্ধতি সহ সাম্মাম ফল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন।
সাম্মাম ফল সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এইরকম তথ্যবহুল পোস্ট এবং বিভিন্ন রকম নিউজ এবং ইনফরমেশন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url